কাঠগোলাপ
টিটু চন্দ্র সাহা
কেউ একজন ওপাশ থেকে আমাকে প্রশ্ন করে…..
-তুই এতো হাসিস কেন?
আমি তার প্রতুত্তরে বললাম;
-একবুক দুঃখ লুকবো বলে।
-তোকে আজকাল আমার ধারে পাশে দেখিনা কেন?
-তুই ঐ দু-চোখে অন্য কাউকে দেখিস বলে।
-তুই এখন আর আমায় ডাকিস না কেন প্রয়োজনে….?
-তুই যে ভীষণ মশগুল থাকছিস অন্য কারোর গল্পে।
-তোর কি হিংসে হয়?
-হ্যাঁ,হয়তো ভীষণ অনুশোচনাও হয়।
-তবে আমাকে যেতে দিস কেনো….?
-ছেড়ে দেয়া পাখি যদি নীড়ে ফিরে আসে তবে সে আমার ঠিকানায় বাঁচতে চায়।বন্দী করে নিজের করার চেয়ে তাকে মুক্ত করে দেখা ভীষণ জরুরী,সে আপন থাকে কি না।
-এতো শক্ত কথা আমি বুঝিনা…..
-ক্যানভাসের ঐ রংতুলিতে অন্য কাউকে আঁকছিস তাই তোর কাছে মনে হচ্ছে দুর্বোধ্য আমার কথা।
-আচ্ছা আমি অভিমান করে চলে যাচ্ছিলাম ভাঙাস নি কেন?
-অভিমান হলে ঠিক ভেঙে যেতো,এ-তো ছেড়ে যাওয়ার বাহানা।
-তোর কবিতায় কি আমি আছি?
-হ্যাঁ
-কোথায় আছি…..?
-কবিতার বিচ্ছেদ গাঁথা ছন্দে,গল্পের ট্রাজেডিক মুহুর্তে, উপন্যাসে হারিয়ে ফেলবার উপসংহারে অন্তিম পর্বে।
ভালোবাসা একতরফা হয়,প্রেম কখনো একতরফা হয় না।প্রেম করবার জন্যে সম্মতির প্রয়োজন আছে,ভালোবাসতে হলে সম্মতির প্রয়োজন হয় না।ভালোবাসায় কারোর থাকা না থাকা আলাদা করে ভাবায় না।
তুই প্রেমে না থেকে আজীবন ভালোবাসায় থাক।