মঘা
শ্রী অতনু সেন
——–
জেগে আছো নিশান ধরে,
অথচ,দেখা নেই মাটির কোলে;
কবর,শ্মশান একই রূপরেখা,
বললেই ডুবে যাবো সময়ের দোলে;
সময় ধরে প্রগলভা রূপ দেখি,
হোক সে মা,বন্ধু,প্রেমিকা বা বৌ,,
বিধি একবার লেখ্য এঁকে দিলে,,
বদলাতে পারেনি কেউ;
তুমি দেখেছো দরিয়া সব,,,
মজে গেছে সভ্যতার ময়লা ধুয়ে;
অদেখা সমুদ্র আমি,,,
যাবো আবেগে বা বশে ভাসিয়ে;
ভেবো তখন নিজ দায়ভার,,,
যেমন ছিলাম,,,,,, আছি পরিস্কার;
কোথাও লবণ পেলে
পাকস্থলী খুঁজে নিও আবেশে,,,
নুন খেয়ে নেমকহারামি
হয়না পরবেশে;
সময় সে,,,,, আমি পরিসর,,,
দরিয়া তোমার,,,,, আমি নভচর।
বি:দ্র: মহাকাশের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র মঘা।।
এই নক্ষত্রে রবি মূল ত্রিকোণে অবস্থান করে। মহীরুহ হয়ে সকল আশ্রয়প্রার্থী কে রক্ষা করে।।
মঘা সিংহাসনের কারক।। এই নক্ষত্রে সূর্যদেব ব্যক্তিকে (সিংহ এবং ধনু লগ্ন হলে) সমনীতি,ন্যায় বোধ দেয়,,,,,, তার আদর্শে যুগ বদলায়,,,, ব্যক্তি ব্যক্তিগত জীবনে সূর্যের ন্যায় প্রবল জ্বলনে জ্বলতে থাকলেও তার দ্বারা সকল মানুষের উপকার সম্ভব।। সূর্য বৈশাখে কৃত্তিকাতে তুঙ্গী হয়ে যে ফল দেয় তা অপেক্ষা মঘায় অনেক বেশি রাজযোগকারক, বিপ্লবী,সৃষ্টিশীল এবং বিভেদের মাঝে ঐক্যের কারক।।
বরং, কৃত্তিকার রবি অনেক বেশি ধ্বংশলীলা বোঝে,,,,,, উদ্দেশ্য সফল হলেও ভিন্নতেররা লাভবান হননা তার দ্বারা।।
Source : লতা ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া